পানিতে দুর্গন্ধ, ফুটিয়ে খেতে বললেন ওয়াসার এমডি

ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গার মধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়াপল্টনে আমার নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ আছে। তিনি নগরবাসীকে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। ‘নগরবাসীর চাহিদা-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা)।

ডায়রিয়ায় প্রকোপে ওয়াসার দায় আছে কি না জানতে চাইলে ওয়াসা এমডি বলেন, আইসিডিডিআরবি আমাদের ৯টা জায়গার লিস্ট দিয়েছে। যেসব এলাকায় ডায়রিয়া বেশি। ল্যাব টেস্ট করে সেসব এলাকার পানিতে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরও সাবধানতা হিসেবে সে জায়গাগুলোতে আমরা ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি।

ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে তাকসিম বলেন, ঢাকায় পানির টোটাল চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। তাই রমজানে কোথাও পানির সংকট হবে না।

‘ঢাকা শহরের সেবা খাতগুলো সূচকের দিক থেকে নিচের দিকে থাকলেও পানি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ওপরের দিকে আছে।’

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ ভাগ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানি সংকট হয় তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে। এ কারণে ঢাকা ওয়াসা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গতানুগতিকতার বাইরে এসে কর্মসূচি গ্রহণ করছে। পাশাপাশি নগরবাসীকে সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।

ঢাকায় ক্রমাগত মানুষ বেড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওয়াসা এমডি বলেন, ঢাকায় কাগজে কলমে মানুষের সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ। আমরা ২ কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সেবা দেই। এখন আবার অনেকে বলছেন মানুষ হয়ে গেছে বর্তমানে ২ কোটি ৩০ লাখ। এতো মানুষ হুট করে বেড়ে গেলে চাহিদা পূরণ করতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়।

তিনি আরও বলেন, কাউকে পানির আওতার বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমরা সব বস্তিবাসীদের পানির অধিকার নিশ্চিত করেছি।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ডুরার সভাপতি মো. রুহুল আমিন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিক।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.