বিদে‌শি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন, অন্য কোনো দেশে তারা এভাবে বলেন না।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মতবিনিময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটা হচ্ছে আগামী দিনে আমরা কীভাবে কূটনীতিকদের ম্যানেজ করবো, তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এত বেশি নির্যাতিত হয়েছেন যে গত ১০ বছরে তাদের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে। এর ওপর একটি সেমিনার করতে বলেছেন। সেই সেমিনারে আসল তথ্য তুলে ধরা উচিত।’

কূটনীতিকদের কীভাবে ম্যানেজ করতে বলেছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে তারা এভাবে বলেন না। আলোচনায় যেসব কূটনীতিক ছিলেন, তারা বলেছেন যে আমরা তো বহু বছর বিদেশে চাকরি করেছি, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন অবস্থা কোথাও দেখিনি।’

ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ঐতিহাসিকভাবে এটা হয়ে আসছে, এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এই সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি মনে করি, এখন সময় হয়েছে। এরপর একটা সেমিনার করবো।’

আগামী সপ্তাহে দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক, খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক করতে চান তিনি। তখন তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি। এশিয়ান টাইগার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক সিনিয়র কর্মকর্তারা এসেছেন, আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন, আমরাও খুব খুশি।’

‘কারণ, করোনা মহামারির সময় দুই বছরের বেশি সময় এই এনগেজমেন্ট (যোগাযোগ) কম ছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। কাজেই তারা এসেছেন।’

আব্দুল মোমেন জানান, ‘এছাড়াও বাংলাদেশে একটি বড় ইস্যু রোহিঙ্গা। ওই দুজন আসছেন মূলত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের আগে ১২ ডলার সহায়তা দেওয়া হতো, এখন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছে।’

‘আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তারা (দুই কংগ্রেসম্যান) একটি অনুমোদন কমিটির সদস্য, তারাই টাকা অনুমোদন করেন। এখন এসে দেখবেন, আরও অর্থের দরকার আছে কি না, বাড়ানোর প্রয়োজন কি না। কেন কমলো? আর যে টাকা দেন, সেটির কতটা ব্যবহার হচ্ছে। এসব যাচাই-বাছাই করবেন। তারা তো আমাদের টাকা দেন না, দেন ইউনিসেফকে’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.