কেন্দ্র না বাড়িয়ে ভোটকক্ষ বাড়ানোর প্রস্তাব ডিসি-এসপির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে। একাদশতম নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪০ হাজারের মতন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়ে ভোটকক্ষ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা। প্রয়োজনে প্রতিটি কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকারের আমলারা।

শনিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের মতবিনিময়ে এ বিষয়টি উঠে আসে। সকাল ১০টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।  বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আক্তার হোসেন বলেন, ‘জেলা পরিষদ ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যে নির্বাচনগুলো হয় তা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। ডিসি-এসপি সাহেবরা পরামর্শ দিয়েছেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলেছি।’

গতবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজারের মত ভোটকেন্দ্র ছিল উল্লেখ করে সিনিয়র সচিব বলেন, আগামী নির্বাচনে এ ভোটকেন্দ্র বেড়ে প্রায় ৪৩ হাজারের ওপরে হয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছি, কমিশন যেন নির্দেশনা দেন যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ মাঠ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের। আর যে জায়গাগুলাতে সুরক্ষিতভাবে ভোটগ্রহণ করা যাবে সেটা রেখে যেখানে অপ্রয়োজনীয় ভোটকেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর পরিবর্তে প্রতিটি ইউনিয়নে যৌক্তিক সংখ্যক ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করার কথা বলেছি। যাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঠিকভাবে মোতায়েন করা যায়।’

একটি ইউনিয়নে ৯-১০টি বা তার থেকেও বেশি ভোটকেন্দ্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের যে সংখ্যা তাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা যায় না। এজন্য আমরা যাচ্ছি ভোট ভেন্যুর সংখ্যা কমিয়ে বুথ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। এখন যেহেতু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কাজেই

মূলত কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনা করে তারা এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মাঠপ্রশাসনের এই প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।

সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, দেশের বর্তমান ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ। ১ বছরের ব্যবধানে ভোটার বেড়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।

এদিকে মতবিনিময় সভায় ডিসি-এসপি ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আক্তার হোসেন ও অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম অংশ নেন।

ভোটকেন্দ্র কমানোর পরামর্শের বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সংযোগ রয়েছে। তারা অর্থ পূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছেন, ভোটকেন্দ্রগুলো রিঅ্যারেঞ্জ করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটারদের দৃষ্টিতে আরো সহজতর হতে পারে। আমরা তাদের এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করব।’

অর্থসূচক/এমআর/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.