সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে বিএফআইইউর সঙ্গে কাজ করতে চায় বাজুস

সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বাজুসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২ আগস্ট মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বিএফআইইউকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।

বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর সাক্ষরিত বিএফআইইউর প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসকে দেওয়া এ চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাজুসের সারাদেশে রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার সদস্য। এসব সদস্যর নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রপ্তানির দিকে এগোচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না; চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। ডলার সংকট এর অন্যতম কারণ।

এ অবস্থায় সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ বিএফআইইউর সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় আগ্রহী বাজুস। আশা করছি- বাজুসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএফআইইউর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এর আগে বাজুস ১৩ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতিদিন অবৈধভাবে ২০০ কোটি টাকার সোনা দেশে আসছে। বছরে যার অংক দাঁড়ায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। যার পুরোটাই প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.