ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ২ দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হয়েছে।

ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

ডা. তানভীর আহমেদ প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক বিগত বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতের সকল সূচকে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছে। ২ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের আস্থার ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের সরকার ঘোষিত ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে যা লেনদেনকে আরো সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করে তুলছে। তিনি আধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করে নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, ব্যাংকের সকলকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ গ্রাহকসেবা প্রদান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংক কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি পরিপালনের পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বল্প ব্যয়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। তিনি গ্রাহকদের উন্নত, মানসম্পন্ন ও আন্তরিক সেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের অবদান অবিস্মরণীয়। ২০২৩ সালে নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে ইসলামী ব্যাংক ব্যবসায়ের সকল সূচকে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে ইসলামী ব্যাংক যার পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। শুধু ২০২৩ সালেই নতুনভাবে ডিপোজিট বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

তিনি বলেন, দারিদ্র দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে ৩৩ হাজার গ্রামের ১৭ লক্ষাধিক পরিবারের মাঝে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রদান করেছে এই ব্যাংক। যার সদস্যদের ৯২ শতাংশই নারী। এ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রায় ৮ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংকের সাথে জড়িত।

তিনি তার বক্তব্যে রেমিট্যান্স আহরণ, বিনিয়োগ ও আমানতের অগ্রগতি অর্জনের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। ইসলামী ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার জন্য সকলকে পরামর্শ দেন।

এসময় ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, এফসিএ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, পরিচালক মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল করিম, সৈয়দ আবু আসাদ, মোঃ কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. মোঃ ফসিউল আলম, খুরশীদ উল আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ, বোরহান উদ্দিন আহমেদ, আবু সাঈদ মুহাম্মদ কাশেম ও শওকত হোসেন, এফসিএ এবং শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস।

এছাড়া ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন ও শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টরগণ, প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশন প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান এবং ৩৯৪টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ সম্মেলনে অংশ নেন।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.