আইসিসির নভেম্বরের সেরা বাংলাদেশের নাহিদা

রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন নাহিদা আক্তার। অক্টোবরে মাসসেরার মনোনয়ন পেলেও হেইলি ম্যাথিউসের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। নভেম্বর মাসেও নিজের স্পিন জাদু দেখিয়েছেন নাহিদা। যার ফলে টানা দুই মাসে আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন তিনি। গতবার না পেলেও এবার নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্যা মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন প্রমিলা এই ক্রিকেটার। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনও প্রমিলা ক্রিকেটার এমন পুরষ্কার জিতলেন।

নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নাহিদার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের ফারজানা হক পিকিংও। বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছিলেন পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল। আইসিসির সেরা হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নাহিদা বলেন, ‘এই মুহূর্ত অবশ্যই উদযাপন করতে চাই। ক্রিকেট বোদ্ধাদের এতো বড় প্যানেলের মাধ্যমে স্বীকৃতি পাওয়া এবং আইসিসির মাস সেরা নারী ক্রিকেটার হওয়া অবশ্যই দারুণ কিছু। এটা আমার জন্য অনুপ্রেরণা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ দারুণ ক্রিকেট খেলছি। আমি খুবই খুশি দল হিসেবে কয়েকটি পরীক্ষায় দলের সফলতায় অবদান রাখায়। আমি অবশ্যই আমার অধিনায়ক, কোচ, দলের ক্রিকেটারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। এর কারণে ভালো দলের বিপক্ষে আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পেরেছি এবং চাপের মধ্যে পারফর্ম করেছি।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ১৪.১৪ গড়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন নাহিদা। সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখায় জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৮১ রানে অল আউট হলেও সেদিন ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ৪৩ রান খরচায় নিয়েছিলেন এক উইকেট। তবে ডায়না বেগ এবং নাজিহা আলভির গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভেঙেছিলেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন নাহিদা। শেষ ম্যাচে বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ছিল ২৬ রানে ৩ উইকেট। তাতে করে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.