হড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কখনো কংগ্রেস কখনো বিজেপি এগিয়ে

তেলেঙ্গানায় এবার কংগ্রেস ভালো ফল করবে তা প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষা, জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেস তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিআরএসের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, যিনি কেসিআর নামেই পরিচিত, তিনি দুইটি কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে আছেন। এগিয়ে পছিয়ে থাকার প্রাথমিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস ৬২টি ও বিআরএস ৪২টিতে এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে ১০টি আসনে।

কংগ্রসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র আমলেই ছত্তিশগড় আলাদা রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেস সেখানে পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসতে পারেনি। দুইবারই কেসিআরের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এবার কংগ্রেস সেখানে দুর্নীতির পাশাপাশি ঢালাও জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তেলেঙ্গানা জিততে পারলে কংগ্রেস দক্ষিণ ভারতে কর্ণাটকের পর আরো একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে। তামিলনাড়ুতে তারা ডিএমকে জোটের শরিক হিসাবে ক্ষমতায় আছে।

নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি মধ্যপ্রদেশে এগিয়ে গেছে। ২৩০ বিধানসভায় তারা ১২০টি আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস এগিয়ে ৯৮টিতে। এই প্রাথমিক ফল পরে বদলাবে কিনা তা সময় বলবে। তবে বিজেপি মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে বোঝা যাবে, মধ্যভারতের এই রাজ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রভাব এখনো অক্ষুন্ন আছে। কারণ, এখানে মোদীকে সামনে রেখেই ভোটে লড়েছিল বিজেপি।

রাজস্থানে প্রাথমিকভাবে হড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। কখনো কংগ্রেস এগিয়ে যাচ্ছে। কখনো বিজেপি। প্রাথমিকভাবে বিজেপি এখন কিছুটা এগিয়ে। তারা ৯৯টি ও কংগ্রেস ৮৩ আসনে এগিয়ে আছে।

ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস বিজেপি-র থেকে এগিয়ে আছে। ভূপেশ বাঘেলের রাজ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ৫৪ ও বিজেপি ৩৩টিতে। তবে এ সবই একেবারে প্রাথমিক ফলাফল। পরবর্তী সময়ে তা অনেকটাই বদলে যেতে পারে। ফলে এই এগিয়ে পিছিয়ে থকার হিসাব থেকে একটা প্রাথমিক আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে, তার বেশি কিছু নয়। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.