বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পরিবর্তন করা হবে: ইসি আলমগীর

বিএনপি ভোটের আসার ইচ্ছে পোষণ করলে তাদের সুবিধার্থে এখনো তফসিল পরিবর্তনের সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

সোমবার সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলমগীর বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছি। বিএনপি নির্বাচনে আসার ইচ্ছাপোষন করলেই তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

গত ১৫ নভেম্বর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদদের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।

তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।

তফসিল ঘোষণার পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলগুলো ভোটে অংশ নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।

কিন্তু তফসিল প্রত্যাখ্যান করে সরকার পতনের এক দাবিতে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন থেকে বারবারই তাদের ভোটে ডাকা হলেও বিএনপি তাতে কান দিচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বিএনপির নির্বাচনে আসার সুবিধার্থে প্রয়োজনে সংবিধান অনুযায়ী তারিখ পরিবর্তন করা হবে। আমরা সব সময়ই তাদের স্বাগত জানাই।

এছাড়া নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও শান্তিপ্রিয় করতে নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে বলে জানান তিনি।

ইসি আলমগীর বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ১৫ দিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রস্তুত থাকবেন। কোথাও যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।

ইসি আলমগীর বলেন, প্রার্থীর বৈধতা যাচাই হওয়ার পর সব প্রার্থী সমান সুবিধা ভোগ করবে। সমানতালে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। কেউ প্রচারণায় বাধা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা কঠোর হাতে দমন করবে।

আর সাংবাদিকরা বরাবরের মতো এ বছরও নিয়ম অনুযায়ী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, এ বছর সাংবাদিকদের বিষয়ে নিয়মকানুন আরো শিথিল করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার কার্ড ও মোটরসাইকেলের অনুমতি দেবেন।

তফসিল অনুযায়ী, ভোটের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র কমিশন যাচাই-বাছাই করবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।

প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর এ দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.