ইসরায়েলের জন্য রণতরি-যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার থেকেই সামরিক সহায়তা পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জায়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

এক বিবৃতিতে অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের একটি রণতরি ও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ইসরায়েলের কাছাকাছি পাঠানো হচ্ছে। ইসরায়েলকে সমরাস্ত্রও দেওয়া হবে। এই অঞ্চলে যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

অস্টিন বলেন, ‘হামাসের সর্বশেষ হামলার লক্ষ্য ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করাও হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে।

আগের দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া তিনি ইসরায়েলের জন্য ‘অতিরিক্ত সহায়তার’ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রয়োজনে আগামীতে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানো হবে ইসরায়েলকে। পরিস্থিতি কোনভাবেই যেন ইসরায়েলের শত্রুরা নিতে না পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে ইসরায়েলের জন্য সামরিক সহায়তা পাঠানোর এই ঘোষণাকে ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র দখলদারিত্বকে (ইসরায়েল) সমর্থন জানিয়ে রণতরী পাঠানোর ঘোষণার অর্থ হলো আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে সরাসরি অংশ নেওয়া।

গত শনিবার ইসরাইলি সেনাদের দীর্ঘদিনের আগ্রাসনের জবাবে বিশাল আকারের সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। অল্প সময়ের ভেতরে ইসরাইলের অভ্যন্তরে তারা পাঁচ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। এই অভিযানে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সেনাসহ বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়। ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের জেরে এই হামলা চালাচ্ছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজা ভূখণ্ডের যে অংশটুকু এখন পর্যন্ত টিকে আছে, ইসরায়েলের হাত থেকে এরাই রক্ষা করে আসছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। অপরদিকে গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪১৩ জন।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলার কারণে প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.