সেপ্টেম্বরে ঢাকায় বসবে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম

চলতি বছর সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম।

আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশ থেকে বড় ধরনের অংশগ্রহণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজের সম্পর্কে অন্য দেশকে অবহিত করার পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রোববার (১১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অনেক দেশ থেকে অংশগ্রহণের জন্য নিশ্চয়তা পেয়েছি। আফ্রিকান দেশ যেমন নাইজেরিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও ঘানা থেকে প্রতিনিধি দল আসবে। যুক্তরাজ্য থেকে আমরা বড় একটি প্রতিনিধি দল আশা করছি।’

সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কমনওয়েলথ সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতার স্বপ্ন নিয়ে কমনওয়েলথে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ যখন কমনওয়েলথে যোগদান করে, তখন দেশটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। এই জাতির কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ছিল কমনওয়েলথ সদস্যদের মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন। দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি। বাংলাদেশের এফবিবিসিসিআই গত বছর বড় একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে জাপান, চীন ও ভারতের জন্য বিশেষ জোন তৈরি করা হচ্ছে। রফতানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কানেক্টিভিটির কারণে নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজার আগের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য এবং কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানোর একটি বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

বাংলাদেশে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন বলেন, কমনওয়েলথ সদস্যদের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা এ বছর ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে যোগ দেবেন। সুতরাং বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হবে। এ ফোরামের লক্ষ্য হলো অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি ও মজবুত করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং দেশের জন্য টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করা।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.