বাংলাদেশে জাইকার ২য় সর্বোচ্চ ঋণ বিতরণের রেকর্ড

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সম্প্রতি জানিয়েছে যে, জাপানের ২০২২ অর্থবছরে (এপ্রিল ২০২২ – মার্চ ২০২৩) বাংলাদেশে সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) ঋণের প্রতিশ্রুতি এবং বিতরণ উভয়ই তাদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অঙ্কে পৌঁছেছে।

২০২২ জাপান অর্থবছরে জাইকা বাংলাদেশে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে মোট ৩৩১ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সংস্থাটির অংশীদারিত্বের দীর্ঘ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তুলেছে।

জাইকা’র ওডিএ ঋণ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে জড়িত মূল প্রকল্প ৫টি হল–

১। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন ৫ নর্দার্ন রুট) (ওও), ঋণের পরিমাণ: ১৩৩,৩৯৯ মিলিয়ন ইয়েন

২। দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প, ঋণের পরিমাণ: ৩২,৪৬২ মিলিয়ন ইয়েন

৩। মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (ওও), ১০৫.৩৬২ বিলিয়ন ইয়েন

৪। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (ও), ঋণের পরিমাণ: ৫৫.৭২৯ বিলিয়ন ইয়েন

৫। জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনের (ই/এস) ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, ঋণের পরিমাণ ৪.২২৮ বিলিয়ন ইয়েন।

জাইকা ২০২০ জাপান অর্থবছরে বাংলাদেশে ৩৭৩ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা স্থানীয় পর্যায়ে সংস্থাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অঙ্কের ঋণ প্রতিশ্রুতি ছিল। ২০২২ জাপান অর্থবছরে জাইকা’র মোট বিতরণের পরিমাণ ছিল ২৬১ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন, যা এর পূর্ববর্তী, অর্থাৎ ২০২১ অর্থবছরের ২৬৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েনের রেকর্ডের চেয়ে সামান্য কম। ২০২২ অর্থবছরে জাইকা’র এই রেকর্ড পরিমাণ সহযোগিতাকে বর্তমানে দেশের বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর নিরবচ্ছিন্ন অগ্রগতির পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

বিগত দশকজুড়ে ওডিএ ঋণ, অনুদান এবং কারিগরি সহযোগিতা স্কিমের মাধ্যমে জাইকা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করে তুলেছে, যার ফলশ্রুতিতে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামোগত চাহিদা মোকাবেলার পথ আরো সুগম হয়ে উঠছে। অদূর ভবিষ্যতেও জাইকা স্থানীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সমূহ অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে একইভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা রাখে।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.