হেটমায়ারের ঝড়ে শীর্ষে রাজস্থান

উইকেটে যৎসামান্য ঘাস থাকলেও সেখান থেকে বাড়তি সুবিধা আদায় করতে পারেননি ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য উইকেট থেকে ঠিকই ফায়দা লুটেছেন মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের দুজনের গতি আর সুইংয়ে পেরে উঠতে পারছিলেন না জস বাটলার ও ইয়াশভি জয়সাওয়াল। তাতে মাত্র ৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজস্থান।

এমন অবস্থা থেকেও রাজস্থানকে জয় এনে দিয়েছেন শিমরন হেটমায়ার। ক্যারিবীয় এই ব্যাটারের ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসে গুজরাট টাইটান্সের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। যদিও এর আগে রাজস্থানকে ম্যাচে রেখেছিলেন ৩২ বলে ৬০ রান করা সাঞ্জু স্যামসন। গুজরাটকে ৩ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল রাজস্থান।

আহমেদাবাদে জয়ের জন্য ১৭৮ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন জয়সাওয়াল। হার্দিকের পঞ্চম স্টাম্পের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে থাকা শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বাটলারকে রানের খাতাই খুলতে দেননি শামি। ডানহাতি এই পেসারের ১৪২ কিলোমিটার গতির লেংথ ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ইংলিশ এই ব্যাটার। তিনে নেমে খানিকটা আশা দেখালেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েই ফিরেছেন দেবদূত পাডিকাল। ব্যক্তিগত ১২ রানে জীবন পাওয়া তরুণ এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ২৬ রানে। রশিদ খানের গুগলি পড়তে না পেরে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহিত শর্মাকে ক্যাচ দেন পাডিকাল। রিয়ান পরাগও সাজঘরে ফিরেছেন ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে।

অবশ্য রাজস্থানকে একটু একটু করে পথ দেখাতে থাকেন স্যামসন। ডানহাতি এই ব্যাটার এদিন খেলেছেন ছয়টি ছক্কা ও তিনটি চারে ৩২ বলে ৬০ রানের ইনিংস। স্যামসন ফেরার ঝড় তোলেন হেটমায়ার। ৫ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ বলে ৫৬ রান করে রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ১৮ রান করা ধ্রুব জুরেল ও ১০ রান করা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে গুজরাট। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ডেভিড মিলার। এ ছাড়া গিল ৪৫, হার্দিক ২৭, অভিনব মনোহর ২৭ ও সাই সুদর্শন ২০ রান করেছেন। রাজস্থানের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.