চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করলো ইতালি

জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করলো ইতালি। পশ্চিমা দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো চ্যাটবটটিকে নিষিদ্ধ করলো ইতালি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) দেশটির তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) এই চ্যাটবটটিকে। এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

ইতালীয় ওয়াচডগ জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই করতে না পারা এবং তাদের তথ্যের মর্যাদা না বোঝার কারণে চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারীর কথোপকথন এবং অর্থপ্রদানের তথ্য সম্পর্কিত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়টি নজরে আসে গত ২০ মার্চ।

তাদের মতে, চ্যাটজিপিটির কার্যকলাপে অন্তর্নিহিত অ্যালগরিদমগুলোকে ‘প্রশিক্ষণ দেওয়ার’ উদ্দেশ্যে ‘ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যাপক সংগ্রহ এবং সঞ্চয়ের ন্যায্যতা’ দেওয়ার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এছাড়া ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চ্যাটবটটি ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিকাশ ও সচেতনতার মাত্রার তুলনায় অনুপযুক্ত উত্তর দিতে পারে’।

ইতালীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের উদ্বেগ নিরসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে জবাব দিতে চাটজিপিটি ২০ দিন সময় পাবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই কোটি ইউরো অথবা বার্ষিক আয়ের চার শতাংশ জরিমানা হতে পারে।

মাইক্রোসফটের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টার্টআপ ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি নামক এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে । চ্যাটবটটি মানুষের মতোই প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। এমনকি অন্যের লেখার ধরনও নকল করতে পারে।

এটি তৈরিতে শত শত কোটি ডলার খরচ করেছে মাইক্রোসফট। গত মাসে সার্চ ইঞ্জিন বিং-এ যোগ হয়েছে চ্যাটজিপিটি। ২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ মানুষ ব্যবহার করছে চ্যাটবটটি।

তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বিভিন্ন মহলে। যেমন- এর কারণে চাকরি হারাতে পারেন কোটি কোটি মানুষ। এছাড়া, ভুল তথ্য ও পক্ষপাতিত্ব ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে এআই’র ব্যবহার নিয়ে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইলন মাস্কসহ প্রযুক্তি শিল্পের প্রধান ব্যক্তিরা এ ধরনের এআই সিস্টেমগুলোর ব্যবহার স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি বিকাশের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.