পরিচয় মিলেছে সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ বাংলাদেশির

সৌদি আরবের আসির প্রদেশে ওমরাহ পালন করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত ১৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী বাসটি গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে মোট ২২ জন নিহত হন।

নিহত ১৩ বাংলাদেশি হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোর ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।

একটি সূত্র জানায়, খাদে পড়ে যাওয়ার কারণে মৃতদেহগুলোর চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে সমস্যা হচ্ছে।

আহত ১৭ বাংলাদেশির মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার বুরহান উদ্দিন উপজেলার আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরের সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিকার জাকির মোল্লার ছেলে আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: EA0231718), লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলে মো. রিয়াজ, মো. সেলিম (পাসপোর্ট নং: A03459571), কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুবি আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন, মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মাগুরার মোহাম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন। এছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, হোসাইন আলী ও কুদ্দুস।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাসে ভিন্নদেশি ১২ জন যাত্রীদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ সৌদির দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আকাবা শারে এ ঘটনা ঘটে। আকাবা শারের ওই সড়কটি ১৪ কিলোমিটার, যা প্রায় ৪০ বছর আগে চালু হয়েছিল। পাহাড় কেটে নির্মিত সড়কটিতে ১১টি টানেল এবং ৩২টি সেতু রয়েছে বলে জানায় সৌদি প্রেস এজেন্সি।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ওমরাহ যাত্রীবাহী বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় এবং পরে আগুন ধরে যায়। এতে ২০ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়। আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সংযোগকারী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ওমরাহ পালনে মক্কা যাচ্ছিলেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.