প্রায় ১৩০০ কর্মী ছাঁটাই করছে জুম

বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৩০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুম ।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক ইউয়ান এ ঘোষণা দেন। বিবিসির এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এমন সিদ্ধান্তের কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।

ইউয়ান জানান যে তিনি ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিজেদের বেতন কমিয়ে নেবেন। আগামী অর্থবছরে এরিক ইউয়ান তার বেতনের ৯৮ শতাংশ কমিয়ে নেবেন এবং সেই সঙ্গে বোনাসও নিবেন না। তবে অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মীদের বেতন থেকে ২০ শতাংশ কেটে রাখা হবে এবং তারাও বোনাস পাবেন না।

মূলত চলমান বৈশ্বিক মন্দা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে জুম। কারণ, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবহারকারী বৃদ্ধিতে ধীরগতি দেখা গেছে। সেই সঙ্গে মুনাফাও কমছে।

জুমের দাফতারিক ব্লগে তিনি লিখেন, ‘জুম কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে। এ জন্য কঠোর পরিশ্রমী ও মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রায় ১ হাজার ৩০০ সহকর্মীকে বিদায় জানাতে হচ্ছে, যা জুমের মোট কর্মীর ১৫ শতাংশ।’

তিনি আরও লিখেন, ‘চাকরিচ্যুত কর্মীদের শিগগিরই ইমেইলে তা জানিয়ে দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত জুমের কর্মীরা তাদের চাকরি হারানোর বার্তাটি পরবর্তী ৩০ মিনিটের মধ্যে ইমেইলে পেয়ে যাবেন। তবে অন্যান্য দেশে কর্মরত কর্মীদের এই বার্তা সেখানকার নিয়ম মেনে দেয়া হবে।’

অফিস কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোন মিটিং কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার ক্লাস, করোনা মহামারির সময়ে এ সকল কিছু ঘরে বসে সেরে নেয়ার সুবিধা থাকায় গেলো দুই বছরে অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সকলের মাঝেই।

২০১১ সালে জুম প্রতিষ্ঠা করেন এরিক ইউয়ান। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে অনেক কম মানুষের কাছে সেবাটি জনপ্রিয় ছিল। প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ২০২০ সালে তিন গুণেরও বেশি উঠে যায়। আর ২০২১ সালে তাদের আয় প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে গত বছর থেকে তাদের মুনাফা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.