সাকিবের মোনার্কের মার্কেট মেকারের লাইসেন্স আবেদন নাকচ

মার্কেট মেকারের লাইসেন্স পাচ্ছে না বিতর্কিত ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংস। লাইসেন্সের জন্য প্রতিষ্ঠানটির করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে শেয়ারবাজারে নানা কারসাজিতে সাকিবের সম্পৃক্ততার অভিযোগে নয়, বরং কোম্পানিটির একজন পরিচালক ঋণখেলাপী হওয়ায় কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার তথা ব্রোকার মোনার্ক হোল্ডিংস গত মে মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে মার্কেট মেকারের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা যাচাই করে নিবন্ধন সনদ দিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে সুপারিশও করে ডিএসই।

নিয়ম অনুসারে, ওই আবেদন ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে মোনার্ক হোল্ডিংসের পরিচালকদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) চিঠি দেয় বিএসইসি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে জানা যায়, মোনার্ক হোল্ডিংসের পরিচালক জাভেদ এ মতিন ঋণখেলাপি। কোনো প্রতিষ্ঠানে একজন পরিচালকও যদি ঋণ খেলাপী হয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানকে কোনো লাইসেন্স দেওয়া বা তাদের আইপিও অনুমোদন করার সুযোগ নেই বিদ্যমান আইনে। এ কারণে মার্কেট মেকারের লাইসেন্স চেয়ে করা  মোনার্ক হোল্ডিংসের আবেদন সম্প্রতি নাকচ করে দেয় বিএসইসি।

চিঠি দিয়ে সম্প্রতি বিষয়টি ডিএসইকে বিএসইসি জানিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। মোনার্ক হোল্ডিংসকেও এ তথ্য জানিয়ে বিএসইসি থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

তবে বিএসইসির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট পরিচালক যদি ঋণ নিয়মিত করেন এবং অন্য কোনো পরিচালক ঋণ খেলাপী না হন, সিআইসির ক্লিয়ারেন্স পরিস্কার থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্সের জন্য পুনরায় আবেদন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে এই আবেদন কমিশন বিবেচনায় নিতেও পারে। আইনে এমন সুযোগ আছে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.