ডি‌মের হাফ, মুরগির ডাবল সেঞ্চুরি

প্রতিদিনই লাগামহীনভাবে বাড়ছে কোনো না কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তেল, চিনি, চাল, ডাল, সবজির পর এবার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। এ ছাড়া রাজধানীর বাজারগুলোতে ছোট মাছের আকাল চলছে। আবার বড় মাছে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। ইলিশের দাম ভরা মৌসুমেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে।

গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দামও। প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম রেকর্ড মূল্যে ১৫০-১৫৫ টাকায় উঠেছে। হালিতে বেড়েছে কমপক্ষে ১০ টাকা। ৪০ টাকা হালির মুরগির ডিম (লাল) ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আজ।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে খুচরো দোকানে লাল ডিমের ডজন যেখানে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার বিক্রি হয়েছে, সেই ডিমের ডজন আজ ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর হালিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। আজকের বাজারে একটি ডিমের দাম পড়ছে প্রায় ১৩ টাকা। অপরদিকে, পাইকারি বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। আর প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়।

অন্যদিকে, মুরগির ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে হাঁসের ডিমের দামও। হাঁসের ডিমের প্রতি ডজন ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। প্রতিটি হাঁসের ডিম ১৫ থেকে ১৬ টাকা দিয়ে একজন ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছেন। যেখানে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেটি কেজি প্রতি প্রায় ৪০ টাকা বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।

এদিকে ব্রয়লারের পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। এ জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ টাকা।

এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং অনেক খামার বন্ধ হয়ে মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়া। দাম বাড়ার মূল কারণ হিসেবে মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধিকে দায়ি করছেন বিক্রেতারা। খামারিদের উৎপাদন ব্যয় ও পরিবহন খরচও বেড়েছে বলে জানান তারা। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ব্রয়লার মুরগির দাম ২৫০-৩০০ টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.