মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি পেল বঙ্গভ্যাক্স

দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী বঙ্গভ্যাক্স টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

করোনা প্রতিরোধে দেশে তৈরি বঙ্গভ্যাক্স প্রাণিদেহে সফলভাবে ট্রায়ালের পর এবার মানবদেহে পরীক্ষামূলক (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

রোববার (১৭ জুলাই) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, আজ আমরা মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছি। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

গ্লোব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড) দিয়ে তৈরি, তাই এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স টিকা এক ডোজের। এটি অনুমোদন পেলে বিদেশেও চাহিদা তৈরি হবে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে। এরপর গত বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেওয়া হয়। এরপর বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা দেওয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি। পরে ২০২১ সালের ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে ট্রায়াল শুরু করে, যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.