শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

দেশে করনো সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ১২ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাদের টিকার আওতায় আনতে না পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তা করা হবে।

বুধবার (৬ জুলাই) নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণায় আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে আবারও করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় আমরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। তবে আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে আমাদের ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে। ১২ বছরের নিচে যেসব শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরও টিকা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তাদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। যদি সেটি সম্ভব না হয় তাহলে ভিন্ন চিন্তা করা হবে।

এর আগে দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবছর আমি ঘোষণা (এমপিওভুক্তির) দিচ্ছি, এরপর আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় নতুন ২ হাজার ৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১০৯টি, ১৮টি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে।

একইভাবে কারিগরি এবং মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল অথবা দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এইচএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ২০০টি, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার দুটি, দাখিল মাদরাসা ২৬৪টি, আলিম মাদরাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদরাসা ৬টি, কামিল মাদরাসা ১১টি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় উভয় বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করবে সেই ঘোষণা আমি দিচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.