আইনজীবীর ‘১২ কোটি টাকা ফিস নেওয়ার’ অভিযোগ তদন্ত চেয়ে রিট

গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ইউসুফ আলী অপরপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা ফিস নিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (৬ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। তিনি বলেন, রিট আবেদনটি বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

রিটে সংসদ সচিবালয়ের সচিব, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিলের সচিব ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীকে বিবাদী করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছিল। শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়। পরে ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে মোট ১৭৬ জন শ্রমিক রিটে পক্ষভুক্ত হন। পরে ওই মামলায় শ্রমিকদের আইনজীবীর সঙ্গে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থেকে সমঝোতা বাবদ ১২ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন হাইকোর্ট। এদিকে ওই ১২ কোটি টাকা ফিস গ্রহণের ঘটনায় আইনজীবী ইউসুফ আলীর ৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ইউসুফ আলী বলেন, ক্লায়েন্টদের মধ্যে যারা তিন কোটি বা তার বেশি পেয়েছেন, তারা নিজেরা ঠিক করেছিলেন ১৫-২০ লাখ টাকা করে দেবেন। আমার ১০০ জন ক্লায়েন্ট তিন কোটি টাকার বেশি পেয়েছেন। এটা থেকে আপনারা ধারণা করতে পারেন আমি কত টাকা পেয়েছি। ক্লায়েন্টরা আমাকে হাসিমুখে ফি দিয়েছেন। তারা কারও কাছে অভিযোগ করেননি। গ্রামীণ টেলিকম থেকে ১২ কোটি টাকা নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বঞ্চিত করে মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসত্য।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.