বাংলাদেশের উপরে ইংল্যান্ড

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের চেয়ে ২৫ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ডাচদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজ শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের কোনো খেলা না থাকায় তামিম ইকবালের দলকে টপকে যাওয়ার হাতছানি দিচ্ছিলো ইয়ন মরগানদের। আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ওঠার সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই লুফে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

সিরিজের শেষ ম্যাচে জেসন রয়ের সেঞ্চুরি ও জস বাটলারের হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে সফরকারীরা। তাতে তিন ম্যাচ জিতে নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা। এমন পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশকেও ছাড়িয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ডাচদের বিপক্ষে ৩০ পয়েন্ট লুফে নিয়ে ১২৫ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে তারা। দুইয়ে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২০।

আমস্টেলভিনে জয়ের জন্য ২৪৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও রয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারেই ৫০ পেরোয় সফরকারীরা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা সল্ট পেসার লগান ভ্যান বিকের এক ওভারে চারটি চার ও একটি ডাবলে ১৮ রান নেন। আক্রমণাত্বত ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটলেও সল্টকে সেটা করতে দেননি পল ভ্যান ম্যাকেরিন।

ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন সল্ট। নয়টি চারে মাত্র ৩০ বলে ৪৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ডেভিড মালান। ভ্যান ম্যাকেরিনের বলে অফ স্টাম্পে দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে শূন্য রানে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তুলেন রয় ও বাটলার। শুরু থেকে ধীরগতিতে ব্যাটিং করা রয় এদিন ভ্যানি বিকের বলে এক রান নিয়ে ৪৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য খানিকটা দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন রয়। মাঝে ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রয়কে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া বাটলার। ২২ ওভারে ৪৫ রানের প্রয়োজন হলেও মাত্র ১৩ বলেই সেটা করে দেখিয়েছেন বাটলার ও রয়। ভ্যান ম্যাকেরিনের এক ওভারে বাটলার ২৬ রান নেয়ার পর ইংল্যান্ডের জয় ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। তাতে সেঞ্চুরি না পাওয়ার শঙ্কায় পড়তে হয়েছিল রয়কে। তবে বাস ডি লিডের ওভারে তিনটি চার মেরে সেঞ্চুরি করেন ডানহাতি এই ওপেনার।

ডি লিডের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে চার মেরে ৮৬ বলে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করেন রয়। পরের ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন বাটলার। ডানহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৪ বলে ৮৬ রানে। আর সেঞ্চুরি পাওয়া রয় অপরাজিত ছিলেন ১০১ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৪৪ রানে অল আউট হয় নেদারল্যান্ডস। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছিলেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এ ছাড়া ম্যাক্স ও’ডোড ৫০ এবং ডি লিড করেছিলেন ৫৬ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে ডেভিড উইলি চারটি ও ব্রেন্ডন কার্স নিয়েছেন দুটি উইকেট।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.