কারাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আসামির আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম মোস্তফা (৩১) নামে এক আসামি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে তার মৃত্যু হয়। গোলাম মোস্তফা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘গলায় ফাঁস দিয়ে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে গোলাম মোস্তফা। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। কারা কমপ্লেক্সের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদি হিসেবে ছিল মোস্তফা। এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রাজধানীর ডেমরা থানার মামলায় গ্রেফতারের পর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওই মামলায় তাকে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাসে এই কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।’

মোস্তাফার রুমমেটদের বরাত দিয়ে জেল সুপার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মোস্তফা বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশায় ভুগছিল। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কারাগারের বাথরুমে যায় মোস্তফা। সেখানে পরনের ট্রাউজারের রশি খুলে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় বন্দিরা দেখতে পেয়ে কারা কর্মকর্তাদের খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.