জনশুমারি গণনা সফল করতে সবাইকে তথ্য দেয়ার আহবান অর্থমন্ত্রীর

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গনণা ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশবাসীকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য প্রদানের আহবান জানিয়েছেন। আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন ষষ্ঠ জনশুমারির গনণা চলবে। তিনি বলেন,‘আমার আন্তরিক অনুরোধ আসন্ন জনশুমারিতে সকলে যেন প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে। কেউ যেন গনণার বাইরে না থাকে এবং এই বড় উদ্যোগটি সফল হয়।’

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জেলা শুমারি সমন্বয়ক কাম মাস্টার প্রশিক্ষকদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. শামসুল আরেফিন এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গনণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের উপসচিব ড. দীপঙ্কর রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অর্থমন্ত্রী জনশুমারি সংক্রান্ত কোন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কেউ যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেব্যাপরে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। দেশের সর্বত্র উন্নয়নের চিহ্ন প্রত্যেকে দেখতে পাচ্ছেন উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষির উন্নয়ন এবং সেলক্ষ্যে কাজ করার জন্য নির্ভুল তথ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ এবং ২০৪১ সালে উন্নয়-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে। রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দেওয়ার পর গত কয়েক বছরে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আসন্ন জনশুমারি নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, যদিও কোভিড মহামারির কারণে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গনণা প্রায় দেড় বছর বিলম্বিত হয়েছে, তবে বিবিএস প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মত ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এই জনশুমারি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তিনি জানান, গণনাকারীদের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জনশুমারি কার্যক্রম সমন্বিত জনশুমারি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং এর কার্যক্রম রিয়েল টাইম সময়ের মাধ্যমে মানিটারিং করা হবে।

উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং জোনাল অফিসারদের জন্য পরবর্তী চার দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের জন্য যথাক্রমে ৪ থেকে ৭ জুন এবং ৯ থেকে ১২ জুন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যষ্ঠ জনশুমারি সফল করতে ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার, ৪ হাজার ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করবেন। বিবিএস ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ৯০০ জন কর্মকর্তা জনশুমারি কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। বাসস

 

অর্থসূচক/ এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.