ইউক্রেনে জাতিসংঘের প্রধান, কঠোর হুঁশিয়ারি পুতিনের

বুধবার রাতে কিয়েভে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। মস্কো থেকে পোল্যান্ডগামী ট্রেনে চড়ে কিয়েভে পৌঁছেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার আলোচনা হওয়ার কথা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। এর আগে সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি। শান্তি আলোচনার পাশাপাশি মারিউপলে আটকে থাকা বেসামরিক ব্যক্তিদের উদ্ধার নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। সে বিষয়েই এদিন জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা তার। কথা বলার কথা শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্র নিয়েও।

মারিউপলের কাছে একটি স্টিল প্লান্টে প্রায় এক হাজার বেসামরিক মানুষ আটকে আছেন বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রায় দুই হাজার ইউক্রেনের সেনাও আছে। প্লান্টটি বাইরে থেকে ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনা। ভিতরে সকলে বাঙ্কারের ভিতর লুকিয়ে আছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, বেসামরিক ব্যক্তিদের ঢাল বানিয়ে রেখেছে ইউক্রেন সেনারা।

এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন গুতেরেস। দ্রুত ওই ব্যক্তিদের উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। পুতিন জানিয়েছেন, রেডক্রস এবং জাতিসংঘের উপস্থিতিতে তারা উদ্ধার কাজ চালাতে দেবে। কীভাবে সেই উদ্ধারকাজ হবে, তা নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে গুতেরেসের বৈঠক হওয়ার কথা। এছাড়াও কীভাবে শান্তিপূর্ণ সমাধান সূত্রে পৌঁছানে যায়, তা নিয়েও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা জাতিসংঘের প্রধানের।

ইউক্রেন জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল রাশিয়ার সেনা দখল করে নিয়েছে। মারিউপলের স্টিল প্লান্টে তারা এখনো আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও দনবাস অঞ্চলের একাধিক জায়গা রাশিয়া দখল করে নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার অভিযোগ বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আসছে ইউক্রেনে। বুধবারও দক্ষিণ ইউক্রেনে একটি অস্ত্র ভান্ডার ধ্বংস করেছে বলে রাশিয়া দাবি করেছে। তাদের অভিযোগ, ওই অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন।

বুধবার পুতিন বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলির প্রক্সি যুদ্ধ বরদাস্ত করা হবে না। পশ্চিম সরাসরি ইউক্রেনের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। রাশিয়া বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না। এমন চলতে থাকলে যে কোনোদিন অন্যদেশেও রাশিয়া আক্রমণ চালাতে পারে হুমকি দিয়েছেন পুতিন। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়ার হাতে ব্যালেস্টিক মিসাইল এবং পরমাণু অস্ত্র আছে। এবং রাশিয়া প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পিছুপা হবে না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.