সংকটে বন্ধ শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজার

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বন্ধ হয়ে গেছে  শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজার কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জ। আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) এক্সচেঞ্জটিতে কোনো লেনদেন হয়নি। লেনদেন বন্ধ থাকবে আরও চারদিন।

গত ১৬ এপ্রিল শ্রীলংকার পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ৫ দিনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়, যা আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বাজারটি বন্ধ থাকবে।

খবর ইকোনোমিক টাইমস ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর।

খবরে, বলা হয়, শ্রীলংকা চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির কাছে আবেদন জানিয়েছিল। ওই আবেদন পর্যালোচনা করে এসইসি সাময়িকভাবে ৫ দিনের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

এদিকে লেনদেন বন্ধ রাখার ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায় শ্রীলংকার ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম সিলন চেম্বার অব কমার্স। চেম্বারের পক্ষ থেকে এসইসির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে পুঁজিবাজারকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাজার বন্ধ থাকলে বিনিয়োগকারীরা জরুরী প্রয়োজনেও বাজারে শেয়ার বিক্রি করে অর্থ তুলে নিতে পারবে না। অন্যদিকে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার কেনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

তবে সিলন চেম্বারের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি শ্রীলংকান এসইসি।

গত কয়েক মাস ধরেই তীব্র অর্থনৈতিক সংকট চলছে দ্বীপ দেশ শ্রীলংকায়। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানীতে ঠেকেছে। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় জ্বালানী তেলসহ অতি জরুরি পণ্যও আমদানি করতে পারছে না দেশটি। তেলের অভাবে পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। দেশটিতে এখন দিনে ১৫/১৫ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। এমন অবস্থায় দেশটির নাগরিকরা রাস্তায় নেমে এসেছে। চলছে সরকার বিরোধী আন্দোলন। পরিস্থিতি দিন দিন আরও নাজুক হচ্ছে।

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলংকার পুঁজিবাজারে অনেক দিন ধরে অস্থিরতা চলছে। তীব্র দরপতন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত তিন মাসে দেশটির পুঁজিবাজারের প্রধাণ সূচক সিএসই অল শেয়ার ইনডেক্স ৩৮ শতাংশের বেশি কমেছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.