এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। যার ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও সুযোগ নেই।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রযুক্তির ব্যবহারের উদাহরণ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেই গাড়িতে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়, সে গাড়িগুলোকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করা হয়। আমরা ডিজি (স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিরেক্টর জেনারেল) অফিসে বসে আমরা দেখতে পারি কোথায় গাড়ি যাচ্ছে, থামছে কিংবা রওয়ানা দিচ্ছে। যে বাক্সে করে প্রশ্ন নেওয়া হয়, সেগুলো খুললেও বোঝা যায় যে, এই বাক্সগুলো এখন খোলা বা বন্ধ করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে এখন ৭২টি বেসরকারি এবং ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। যেগুলোতে মোট আসন রয়েছে ১০ হাজার ৮৩৯টি। এতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী; যা বিগত বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এবছর সারাদেশের মোট ৫৭টি ভেন্যুর ১ হাজার ৭৯২টি কেন্দ্রে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি বলেন, ‌‌‘আমি দু-একটা হলে গিয়েছি, পরীক্ষা সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে। সারা বাংলাদেশে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, এমসিকিউ মাধ্যমে এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা শুনিনি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছে প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। আমরা আশা করি সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবেই পরীক্ষা শেষ হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের সতর্কতা আমরা নিয়েছি। এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, র‍্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা সবধরনের গণমাধ্যম; যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপও আমরা মনিটরিং করছি। ইতিমধ্যে আমরা দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তারা ভুয়া প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। তারা এখন জেলে আছে। আশা করছি কোনও অঘটন ঘটবে না, আমরা সতর্ক আছি।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মেডিক্যাল শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামাদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক সচিব মো. আলী নূর, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.