শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মোসলেম উদ্দিন হাতেম (৫৫) নামে নিখোঁজ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরের দিকে মোসলেম উদ্দিনের নামে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, সকালে ডেমরার বাসিন্দা আবব্দুল্লাহ আল জাবের (৩০) ও ৩ বছরের শিশু আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ২০ মার্চ দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়। সোমবার ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ সময় লঞ্চের ভেতরে কোন মরাদেহ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত লঞ্চডুবির ঘটনায় ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এরা হলেন- সোনারগাঁও হরিয়ান প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে খাইরুন ফাতিমা (৪০), মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূঁইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত হোসেন (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইস্পাহানিচর সৃতি রাণী বর্মণ, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আজিজের মেয়ে সালমা (৩৩), একই এলাকার ইউনুস খলিফার মেয়ে ফাতেমা (৭), ডেমরার বাসিন্দা আবব্দুল্লাহ আল জাবের (৩০), ৩ বছরের শিশু আরোহী, মুন্সিগঞ্জের মোসলেম উদ্দিন হাতেম (৫৫) ও একজন অজ্ঞাত। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন জোবায়ের হোসেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.