আগামী বাজেট হবে গণমুখী: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটটি অত্যন্ত গণমুখী হবে। অর্থাৎ কাউকে কষ্ট না দিয়ে কীভাবে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায়, আগামী বাজেটে সেই প্রচেষ্টা থাকবে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪২তম যৌথ পরার্শক কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের শীর্ষ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বাজেট সামনে রেখে আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব দেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে। ব্যবসায়ীরা যদি সহযোগিতা না করত তাহলে পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। তাই আসছে বাজেটে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আগেও ঠকেননি। এবারও ঠকবেন না। আপনারা ঠকলে দেশ পিছিয়ে যাবে। কাজেই এই বাজেটে আপনারা জিতবেন।’

গত ১৩ বছরে দেশের রাজস্ব আহরণ আটগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এর পেছনে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে। আমাদের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে আরও রাজস্ব দরকার। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশের করনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের মতো আমরা এখন প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। যার যত বেশি আয়, তিনি তত বেশি কর দেবেন। এই ব্যবস্থার ফলে কারও ওপর করের চাপ আসবে না।’

সভায় এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহযোগিতা করা। আগামী বাজেটে তার প্রতিফলন থাকবে। আওতা বাড়িয়ে করের চাপ কমানোর নীতি আসন্ন বাজেটেও অব্যাহত থাকবে।’

অর্থসূচক/এমএস/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.