দেশে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৪৪ শতাংশ

বিএফআইইউ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ

দেশে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোটিং ও সন্দেহজনক লেনদেন কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে বাড়ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংক্রান্ত লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে হয়েছিলো ৯৫৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৭ হাজার ১২২ কোটি টাকা বা প্রায় ৪৪ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম, বিএফআইইউর পোগ্রামার ইফতেখার মাহমুদ এবং যুগ্ম পরিচালক ইকরামুল হাসান প্রমুখ।

প্রতিবেদনে বলা হয়,২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সন্দেহ জনক লেনদেন রিপোটিং (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম রিপোটিং (এসএআর) ছিল ৩ হাজার ৬৭৫ টি। সেখান থেকে করোনাকালীন সময়েও ১ হাজার ৬০৫টি বেড়ে ২০২০-২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮০টিতে।

মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সন্দেহ জনক লেনদেন বেড়েছে। তবে এটি শুধু দুর্নীতি বাড়ার কারণে হয়েছে তা নয়, এ বিষয়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেও বেড়েছে।

বিএফআইইউ’র প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, এ বছর আমরা বিএফআইইউ’র ২০ বছর পূর্তি উৎযাপন করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের মানি লন্ডারিং ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তথ্য প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা এবং ঝুঁকির ধরণ পাল্টেছে। আমরাও বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি।

তিনি জানান, আমরা যেসব সন্দেজনক লেনদেন চিহ্নিত করি তার ২৬ দশমিক এক শতাংশ তথ্য আসে গণমাধ্যম থেকে। গত ৭ মার্চ বিএফআইইউ’র সতন্ত্র ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে, যেখানে পরিচয় গোপন করে যে কেউ অভিযোগ করতে পারবেন। সেটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখবে গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

তিনি বলেন, ইদানিং ই-কমার্সের মাধ্যমে শত শত অবৈধ লেনদেন হচ্ছে যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা কানাডার বেগমপল্লী, মালয়েশিয়া এবং পিকে হালদার নিয়ে কাজ করেছি এবং এ বিষয়ে যথাযথ সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.