‘এক নম্বর টার্গেট প্রেসিডেন্ট, দ্বিতীয় তার পরিবার’

রাশিয়ার পুতিন সরকারের হামলার দ্বিতীয় দিনেও রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাদের তীব্র লড়াই চলছে। সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী কিয়েভ থেকে ২০ মাইলের মধ্যে রুশ সেনারা অবস্থান নিয়েছে। কিয়েভের বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাজধানী কিয়েভেই থাকবেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া, রাষ্ট্রপ্রধানকে ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে পুরো ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি আরও বলেন, শত্রুরা তাকে এক নম্বর টার্গেটে রেখেছে এবং দ্বিতীয় টার্গেট তার পরিবার।

তিনি বলেন, তিনি রাজধানী কিয়েভের সরকারি বাসভবনে থাকছেন এবং তার পরিবারও ইউক্রেনে রয়েছে।

জেলেনস্কি ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেছেন, তার কাছে তথ্য রয়েছে শত্রুরা কিয়েভে প্রবেশ করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি স্পষ্ট করেননি বিষয়টি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হামলার মুখে পড়েছে ইউরোপের কোনো দেশ। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর রাশিয়া স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র পথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলীয় একটি বিমানঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ নিতে তীব্র লড়াই চলছে ইউক্রেন ও রুশ বাহিনীর মধ্যে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গোস্তোমেল বিমান ঘাঁটির উপর দিয়ে একাধিক রুশ হেলিকপ্টারকে চক্কর দিতে দেখা গেছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি জানিয়েছেন, লড়াই অব্যাহত আছে।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.