গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত: হানিফ

১৯৭১ সালের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, গণহত্যার জন্য পাকিস্তান এখনো ক্ষমা চায়নি। আমরা আশা করি, গণহত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে তারা।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আজকে আমরা জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। যারা জাতির সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছিল সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে। ঠিক পরাজয় মেনে আত্মসমর্পণের পূর্বক্ষণে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক সহস্রাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করলো হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। পরাজয় সুনিশ্চিত ঠিক তখনই তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য এবং জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করলো। সেদিন রাজাকার, আলবদর দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।

তিনি আরও বলেন, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যারা বাংলাদেশে আছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতির কাছে আহ্বান জানাই। আমরা আশাকরি, আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার মূল ইতিহাস জানবে, এবং মনে ধারণ করবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এখনো কেন বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫— তিন বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। এরপর ক্ষমতায় যারা ছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাসকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ১৯৭৫ এর থেকে টানা প্রায় ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল আওয়ামী লীগ। এসময়ে ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের দখলে। এসময়ের মধ্যে যেসব তথ্য হারিয়ে গেছে সেসব তথ্য আমরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এখনো চেষ্টা করছি মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সঠিক তালিকা করার।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.