স্মিথকে অধিনায়কত্ব দেয়া হবে ‘সার্কাসের’ নতুন অংশ!

বল বিকৃতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয়েছিল স্টিভ স্মিথকে। এর তিন বছর পর ‘সেক্সটিং স্ক্যান্ডাল’-এ জড়িয়ে নেতৃত্ব ছাড়লেন টিম পেইন। কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক ইয়ান হিলির চোখে এই ঘটনাগুলো যেন একটি ‘সার্কাস’! কেননা অস্ট্রেলিয়ার বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে এর কোনোটিই মানানসই দৃষ্টান্ত নয়। পেইনের এমন ঘটনার পর অ্যাশেজ সিরিজে পুনরায় স্মিথকে অধিনায়কত্ব বা সহ-অধিনায়কত্ব দেয়া হবে চলমান ‘সার্কাস’-এরই আরেকটি অংশ, মনে করছেন হিলি।

২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতির ঘটনায় জড়িত থাকায় অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব হারান স্টিভ স্মিথ। সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও সেই দলের ওপেনার ক্যামেরন বেনক্রফটও নিষেধাজ্ঞার সাজা ভোগ করেন স্মিথের সাথে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সেই দুরাবস্থায় টেস্ট অধিনায়কত্ব পান পেইন।

সেই পেইনের বিদায় যেন আরও ব্যাথিত করেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটকে। ক্রিকেট তাসমানিয়ার পরিচিত এক নারী সহকর্মীকে কুরুচিপূর্ণ ছবিসহকারে বার্তা পাঠানোর ঘটনা গণমাধ্যমে আসলে অনুশোচনার তাগিদে নেতৃত্ব ছাড়েন পেইন। আসন্ন অ্যাশেজের আগে অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক বা সহ-অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে স্মিথকে। এমনটা একেবারেই অনুচিত মনে করছেন হিলি।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা স্মিথকে অধিনায়ক বানিয়ে এই ‘সার্কাস’-এ নতুন কিছু যোগ করব (টিম পেইনের ঘটনার পর)। স্মিথের পুনরায় অধিনায়কত্ব করা নিয়ে আমরা কোনো সমস্যা নেই। অলস অধিনায়কত্বের কারণে সে এর চড়া মূল্য দিয়েছে। এটা নিয়ে সে অনেক অনুশোচনাও করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক মানুষ ভাবতে পারে, সে দক্ষিণ আফ্রিকায় বল বিকৃতি করেছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে অধিনায়ক হিসেবে সে সচেতন ছিল না। সে এমন একটি ঘটনা (বল বিকৃতি) বন্ধ করতে পারেনি। এটাই ছিল তার অপরাধ। সে এজন্য এক বছর নিষিদ্ধও হয়েছে। এজন্যই বলছি আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তার সহ-অধিনায়ক বা সরাসরি অধিনায়ক হয়ে আসার প্রয়োজন নেই।’

অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেয়া হতে পারে দলটির ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্সকে। তাঁর ডেপুটি হিসেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভাবনায় আছেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর দাবি, নেতৃত্ব দেয়া হতে পারে সরাসরি স্মিথকেই!

নিজেদের ক্রিকেটের ইতিহাসের এমন সংকটপূর্ণ অবস্থায় খুবই বিরক্ত হিলি। তিনি বলেন, ‘পেইন তার নিজের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়িয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে থাকতে বলেছে, কোচও চেয়েছে। কিন্তু সে এই সার্কাসে বিঘ্ন ঘটাতে চায়নি!’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.