সময় চাইলেন আইনমন্ত্রী, গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এটি পরীক্ষা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। এজন্য সময় চেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে আইনজীবীদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ স্মারকলিপি দেন। এরপর মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, সেটা পড়েই দিয়েছেন। এটা আমি অবশ্যই একজামিন করবো। এখানে সিদ্ধান্ত এবং মতামতের ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে এবং সেটাও আমরা করবো।’

এখানে আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই একটি কথা, যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয় তখন কিন্তু ওনার পরিবারের যে আবেদন সেটাকে মানবিক দিক থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোনো দাবি তুলতে হয়নি, তিনি নিজেই ওনাকে মুক্ত করেছিলেন। তো সেক্ষেত্রে আমি বলবো যে, মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই মানবিকতা দেখাতে জানেন, বলেন আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকেই এখন প্রিমিচিউর আপনাদেরকে যদি কিছু বলে দেই, সঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দেন। আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করি। আমি অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া যায়, সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, নীতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমুর আরম খন্দকার, ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন বিএনপির নেতারা। তবে সরকারের তরফ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। কারণ তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার এখন যে অবস্থা তাতে দেশে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সুযোগ নেই।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.