ফের ইরানের পারমাণবিক আলোচনার তারিখ ঘোষণা

ইরানের ওপর থেকে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আলোচনা আবারও শুরু করার তারিখ ঘোষণা করেছেন ইরানের প্রধান আলোচক ও উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি-কানি। খবর- পার্সটুডের

এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপ প্রধান এনরিক মোরার সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে আমরা অবৈধ ও অমানবিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আলোচনা ২৯ নভেম্বর থেকে ভিয়েনায় শুরু করতে সম্মত হয়েছি।

গত সেপ্টেম্বরে তেহরানের মুখ্য আলোচক মনোনীত হন ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানি। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। ওই সমঝোতার মাধ্যমে ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমেরিকা ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

চুক্তিতে থেকে যাওয়া বাকি পক্ষগুলো-চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভিয়েনায় ছয় আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ওই আলোচনায় যুক্ত ছিলো। গত জুনে ওই আলোচনা শেষ হয়। তখন জানানো হয় ইরানের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দায়িত্ব গ্রহণ করে চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

নতুন করে আলোচনা শুরুর তারিখ নির্ধারণের কথা নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। তারা জানিয়েছে, এই আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলের পক্ষে সভাপতিত্ব করবেন এনরিক মোরা। ইউ এর তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আনার লক্ষ্যে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা চালিয়ে যাবে।

ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যতদিন আলোচনা থেকে ফল পাওয়ার আশা থাকবে ততদিন তার দেশ ভিয়েনা সংলাপে অংশগ্রহণ করবে। অনর্থক সময় নষ্ট করার চেষ্টা করা হলে আবার ওই সংলাপ থেকে সরে আসবে তেহরান।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.