কুমিল্লার পথে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার সেই ইকবাল

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গ্রেপ্তারকৃত ইকলাল হোসেনকে কুমিল্লায় আনা হচ্ছে। কক্সবাজারের এসপি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ ভোর ৬টায় অভিযুক্ত ইকবালকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফা‌রুক আহ‌মেদ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কুমিল্লার নানুয়ারদীঘিরপাড়ের অস্থায়ী একটি মন্দিরে গত ১২ অক্টোবর দিবাগত রাতে পবিত্র কোরআন রাখার খবরের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটে। অনেক স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। মন্দিরে কে কোরআন রেখেছিল, এরই মধ্যে তা শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্নেষণ করে পুলিশ বলছে, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ৫০০ গজ দূরের দারোগাবাড়ি মাজারসংলগ্ন মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে মন্দিরে ঢোকেন ইকবাল হোসেন নামের এক যুবক। তবে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ঘটনায় ইকবাল ‘ঘুঁটি’ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। তার পেছনে অন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মূল ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার আট দিন পর গতকাল রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এলাকা থেকে ইকবালকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.