বাজারে এলো স্যামসাংয়ের নতুন কনভেকশন ওভেন

বাজারে এসেছে স্যামসাংয়ের নতুন কনভেকশন ওভেন। ৪৫ লিটার ধারণক্ষমতার এই ওভেনটিতে সিরামিক এনামেল ইন্টেরিওর রয়েছে, যা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সিরামিক এনামেলের শক্ত প্রলেপ এবং ভেতরের শক্তিশালী গঠন ওভনটিকে আরও সাত গুণ বেশি মরিচা ও স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী করে তুলেছে। এছাড়াও, ওভেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যকর এবং সহজতর করতে এতে রাখা হয়েছে ডিউরেবল সারফেস ব্যবস্থা।

স্যামসাং স্মার্ট সেন্সর প্রযুক্তি রান্নার আদর্শ সময় ও শক্তি নির্ধারণ করে, আর্দ্রতা শনাক্ত করে এবং পরিপূর্ণতার জন্য খাবারের ওজন নির্ণয় করবে। উপরন্তু, স্যামসাং এর এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি গ্রাহকদেরকে যথাযথ উপায়ে সঠিকভাবে রান্না সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে। এর ব্যতিক্রমধর্মী অসাধারণ এনামেল কার্যকারিতা জার্মানির হোহেনস্টাইন ইনস্টিটিউট থেকে অনুমোদন লাভ করেছে। এটি প্লাস্টিকের মতো নয়, ফলে প্লাস্টিকের মতো রান্নার উচ্চ তাপমাত্রায় বা অতিরিক্ত পরিষ্কারের কারণে এর রঙ নষ্ট হয় না।

স্যামসাংয়ের এই ওভেনে ক্রেতারা এখন বেকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন সৃজনশীল রান্নাসহ অসংখ্য খাবারের আইটেম তৈরির পাশাপাশি পুনরায় খাবার গরম করতে পারবেন। এই ওভেনটি বাজারে পাওয়া যাবে সিলভার কালারে। এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২,৯০০ টাকা।

এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস বিভাগের হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘জীবনযাত্রার দ্রুত পরিবর্তনের ফলে কনভেকশন ওভেনগুলো প্রচলিত রান্না পদ্ধতির একটি উপযুক্ত বিকল্পে পরিণত হয়েছে। এর ক্রমবর্ধমান গ্রাহকচাহিদা মূল্যায়নের পর, আমরা বাংলাদেশি রান্না পদ্ধতির সাথে মানানসই একটি দীর্ঘস্থায়ী পণ্য উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা আশাবাদী যে, এই উদ্ভাবনটি গ্রাহকদের সময় বাঁচাতে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী উপায়ে রান্নার কাজটি করতে সহায়তা করবে এবং তাদের জীবনকে আরো সহজ করে তুলবে।’

সুবিশাল ধারণক্ষমতার অসাধারণ ফিচার সমৃদ্ধ এই ওভেনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন কর্মজীবী, গৃহিণী ও মিলেনিয়ালদের দৈনন্দিন রান্নার কাজ আরও সহজ হয়। মানুষের লাইফস্টাইলকে সুবিধাজনক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে এটিতে বিভিন্ন ধরণের কুকিং মোড রাখা হয়েছে। কনভেকশন ব্যবহারের পাশাপাশি এটি মাইক্রোওয়েভ ও গ্রিল করার জন্যও ব্যবহার করা যাবে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.