২০৪ ইউনিয়নে নির্বাচন সোমবার

প্রথম ধাপের ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (২১ জুন)। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউপির মধ্যে মাত্র ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। আর ১৮৪টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে প্রথম ধাপের নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

প্রথমে ইসি ৩৬৭টি ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও করোনা প্রবণ এলাকার ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে।

ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৮৫৯ জন, সংরক্ষিত আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুই হাজার ১৫৪ জন, সাধারণ আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছয় হাজার ৯৬০ জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত প্রার্থীর সংখ্যা ২৮ জন।

ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৮৩৬টি। আর মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১০ হাজার ২৬০টি। এই নির্বাচনে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং হিসেবে কাজ করবেন।

এই নির্বাচনে মোবাইল পুলিশের সদস্য থাকবেন ২০৪ জন, স্ট্রাইকিং পুলিশ ৭৪ জন, র‌্যাবের টিম ১২৪টি, বিজিবি ১২৩ প্লাটুনসহ মোট ৫০৮৮টি ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩৯৩ জন এবং ৪১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সংখ্যা ১২ হাজার ২০৭ জন। আর পোলিং অফিসারের সংখ্যা ২০ হাজার ৫২০ জন।

এর আগে ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছিলেন, ২১ জুন নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ৩৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে করোনার উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকা খুলনা বিভাগের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে- বাগেরহাট জেলায় ৬৮টি, খুলনা জেলায় ৩৪টি, সাতক্ষীরা জেলায় ২১টি, নোয়াখালী জেলায় ১৩টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১২টি এবং কক্সবাজার জেলায় ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.