কোভ্যাক্সের ১০ লাখ টিকা আসছে আগস্টে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী আগস্টে কোভ্যাক্সের ১০ লাখ টিকা দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, যতোগুলো টিকা উপাদনকারী সংস্থা বা দেশ আছে তাদের সকলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাদের আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, আমরা সরাসরি ক্রয় করতে চাই বা আমাদের দেশে উৎপাদন করেন। সেটা সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে হোক।

আজ বুধবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

চীন থেকে প্রাপ্ত ১১ লাখ টিকাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা নিবন্ধন করেও টিকা পাননি তাদেরকে আগে দেওয়া হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, মেডিক্যাল-ডেন্টাল শিক্ষার্থী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী, মেগা প্রকল্পের কর্মরত এবং দেশে অবস্থিত বিদেশিরা টিকা পাবেন।

জাহিদ মালেক বলেন, চীনের সিনোফার্মের টিকা পেতে সব ধরনের কাগজপত্র সেখানে পাঠানো হয়েছে, তবে তারা এখনো আমাদের কোনো কিছু জানায়নি।

তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গেও আমাদের টিকা পাওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাদের থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে দুই একদিনের মধ্যে ভালো খবর আসতে পারে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিটের সঙ্গেও নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। তবে তারা টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো আপডেট জানায়নি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকাসহ নোয়াখালী এবং মানিকগঞ্জে পর্যন্ত চলে আসছে। অর্থাৎ ঢাকার কাছাকাছি চলে আসছে। এখন সাবধান না থাকলে বিপদ হবে। করোনা সংক্রমণ বেশি। এসব এলাকার আম ব্যবসায়ীদের জন্য সংক্রমণ বাড়তে পারে। যেখানে বাড়ছে সেখানেই লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের উৎপাদনশীল দেশগুলোতে টিকার সুষম বণ্টন নেই। চীনের টিকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি। আমাদের হাতে ১১ লাখ টিকা আছে। এগুলো ১৯ তারিখ থেকে ৫ লাখ লোককে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখেই তাদের ৫ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। এখন ৫০০টি জায়গায় পরীক্ষা হচ্ছে। এটা আরও বাড়াতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ডাক্তার, নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, ২০ হাজার ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও যাতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এবং চীনের টিকার দামের বিষয়ে তাদের সঙ্গে গোপনীয়তার চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু সেটা ভঙ্গ হওয়ায় এখন টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। তাই এখন তাদের কাছ থেকে টিকার দাম নিয়ে কথা বলা হবে না। তা না হলে টিকা পেতে সমস্যা হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.