তথ্যের অভাবে অর্থ পাচারকারীদের ধরা যাচ্ছে না: দুদক চেয়ারম্যান

সুনির্দিষ্ট তথ্যের অভাবে অর্থ পাচারকারীদের ধরা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, অনেক দেশ প্রশ্ন করে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে মামলা হয়েছে কি না? মামলা হলে তারা তথ্য দেবে। কিন্তু আমারা মামলা করার জন্যই তথ্য চাই। এমন নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা অতিক্রম করার জন্য আমরা পরিকল্পনা করবো।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের কাছে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ আসে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট ফোরামে স্বাক্ষর করেছি। এরপরও সময় মতো সব দেশ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। তবে দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেই বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।

তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে- মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত ডকুমেন্ট এবং তথ্য পাওয়াই এখন আমাদের প্রধান অন্তরায়। দেশে ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যেসব অভিযোগ আসে, তার ভিত্তিতে আমরা কাজ করি। মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে আমাদের কাছে সাধারণত তথ্য আসতে হয়। এ ব্যাপারে যেসব তথ্য থাকতে হয়, তা সাধারণত ডকুমেন্টারি ভিত্তিতে পেতে হয়। তা সঠিকভাবে পেলে আমাদের মামলায় হারার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে মামলায় আমাদের সাফল্য রয়েছে।

২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, ঘুষ বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করার ঘটনা দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত করে থাকে। বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচারের ঘটনা তদন্ত করে এনবিআর। আর হুন্ডি বা অন্য কোনো উপায়ে অর্থ পাচার হলে তা পুলিশের সিআইডি তদন্ত করে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.