শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ ও পাটকল চালুর দাবি

লতিফ বাওয়ানী ও করিম জুট মিলের বদলী শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ, স্থায়ী শ্রমিকদের নামের ভুল সংশোধন করে পাওনা পরিশোধ ও বন্ধ পাটকল আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালুর দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

আজ শুক্রবার (৩ জুন) লতিফ বাওয়ানী ও করিম জুট মিলের শ্রমিকদের আয়োজনে ঢাকার ডেমরা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত পাটকল শ্রমিকদের এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ডেমরা অঞ্চলের পাটকল শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ গোফরান আলী। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, করিম জুট মিলের শ্রমিক নেতা আব্দুল হালিম, জাফরূল্লাহ, হাসি বেগম, এরশাদ-উজ্জামান, ভজন বিশ্বাস।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করে ৩ মাসের মধ্যে আবার মিল চালু করার কথা থাকলেও এক বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এখনো শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাইনি। কিছু স্থায়ী শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ হয়েছে মাত্র। নামের ভুলের কথা বলে অনেকের টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। বদলী শ্রমিকদের মধ্যে এখনো কাউকেই টাকা পরিশোধ করা হয়নি। করোনার এই দুঃসহ সময়ে যখন সরকার সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে, অথচ শ্রমিকদের বাঁচার একমাত্র সম্বল তার চাকরি কেড়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও টাকা পরিশোধ করছে না। শ্রমিকরা খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সরকার এখনো পাওনা পরিশোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দায়-দায়িত্বহীনভাবে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন বস্ত্র ও পাটকল মন্ত্রণালয়ের উপর দায় চাপাচ্ছে। কিন্তু ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বলেন, বিজেএমসির অধীন কর্মকর্তাদের বেতন-বোনস ঠিকই পরিশোধ করছে সরকার।

সমাবেশে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সকল প্রতিষ্ঠান সরকার একে একে বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে চিনিকলগুলোও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। যে স্বপ্ন ও অাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে সরকার। সকলের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতো করছেই না, উল্টো করোনার এই দুঃসময়ে পাটকলগুলো বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকের জীবনে এক দুঃসহ বেদনার ক্ষত সৃষ্টি করলো।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
১। বদলী শ্রমিকদের বকেয়া সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
২। স্থায়ী শ্রমিকদের নামের ভুল সংশোধন করে পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
৩। বন্ধ পাটকল আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পুনরায় চালু করে প্রাক্তন শ্রমিকদের নিয়োগ দিতে হবে।

সমাবেশ থেকে উপরোক্ত দাবিতে আগামী ১৩ জুুুন বিজেএমসি অফিস ও পাট মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.