নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিএনজিচালক আলা উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জাকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া কাদের মির্জার পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
আজ (১১ মার্চ) বিকেল থেকে পৌরভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র্যাব। পরে সন্ধ্যায় সিএনজি চালক আলা উদ্দিনের ভাই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় কাদের মির্জাকে ১ নম্বর এবং তার ভাই সাহাদত হোসেন ও একমাত্র ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
এদিকে আজ (১১ মার্চ) বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা কাদেরের সঙ্গে জেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধের জের ধরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির এবং সিএনজি চালক আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বসুরহাট পৌরসভার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক কাজকর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পেরে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। এজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বসুরহাট পৌর এলাকায় সাধারণ মানুষের জানমাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত ৩০০ পুলিশ ও র্যাবের দুটি টিম নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.