ভবিষ্যতে জিয়াকে মরণোত্তর ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি দেওয়া হবে: কর্নেল অলি

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম।

তিনি বলেছেন, জ্বলন্ত আগুনে হাত দিলে হাত পুড়ে যায়। আশা করি, সরকার ভুলেও সেই কাজটি করবে না। যদি কোনো কারণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল হয়, ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তনের পর অনন্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হবে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) গত মঙ্গলবার এক সভায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সহায়তা করার দায়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

অলি আহমদ প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সরকার হঠাৎ এ ধরনের দুঃস্বপ্ন কেন দেখছে? তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির দুর্দিনে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা, অসহায় ছিল, জাতির সেই ক্রান্তিলগ্নে আলোর দিশারি হিসেবে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার আহ্বানের ফলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত সব বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ, ছাত্র-জনতা বাঙালি সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো জায়গায় লাঠিসোঁটা দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়নি। সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্ভব কাজ ছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি জেড ফোর্স গঠন করেন। এর মাধ্যমে একাধিক সেক্টরের নেতৃত্ব দেন। তার এই অবদানকে অবমূল্যায়ন করা একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর হবে।

কর্নেল অলি আরও বলেন, সেদিন আমরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে, ফঁসির ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলাম। যুদ্ধে বীরত্বের জন্য জিয়াউর রহমান খেতাব পেয়েছেন। সুতরাং কোনো মুক্তিযুদ্ধাকে আপমান করা সরকারের সমীচীন হবে না। মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.