বিএনপির রুমিনের সঙ্গে সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর বাহাস

সংসদে বিল পাসের আলোচনায় বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির একাধিকবার বাহাস হয়।

আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) জনমত যাচাইয়ের আলোচনার একপর্যায়ে রুমিন ফারহানা বলেন, দেশের শিক্ষার মান একেবারেই তলানিতে। লকডাউনে সবকিছুই চলেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলো না কেন। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

পরে সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় রুমিন বলেন, ২০২০ সালের গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স অনুসারে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। মানের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সর্বনিম্ন। অটোপাস যুক্ত হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজে অনুমেয়।

এরপর তার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাদের সরকারের সময় শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছিল, শিক্ষার হার কমে গিয়েছিল, সেই দলের সদস্য এখন শিক্ষার মান নিয়ে মায়াকান্না করেন।

পরে রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি তার বক্তব্যে গবেষণার বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। দীর্ঘ সময়ে শিক্ষার মানের উন্নতি হয়নি। ১৫ বছর আগে কবে কী হয়েছে সেদিকে নজর না দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যদি নিজের অবস্থানের দিকে নজর দিতেন তাহলে ভালো হতো।

এ বক্তব্যের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান বুঝতে যেটুকু শিক্ষার প্রয়োজন হয়, একজন মাধ্যমিক পেরুতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তা সম্ভব নয়। এ কারণে হয়তো বিএনপির আমলে মানের দিকে নজর দেওয়া যায়নি। এখন তার দলের যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনিও বারবার বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ ইতিহাস নিয়ে শিক্ষার মানের দিকে নজর দেওয়া কঠিন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, তার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী। সন্তানেরা দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। সেখান থেকেও তারা মানের দিকে নজর পান।

পরে আবার আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বিরোধী দলের কোনও সদস্যের তোলা বিষয়ের জবাব না থাকলে যদি ব্যক্তিগত আক্রমণের আশ্রয় নিতে হয়, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতি মিনিটে সংসদ চালাতে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। তারা আশা করেন মন্ত্রীরা গঠনমূলক জবাব দেবেন।

একপর্যায়ে বিলের আলোচনায় বিএনপির আরেক সংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, বিলে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা হচ্ছে, তোষামোদি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। কাকে খুশি করার জন্য এসব বলা হচ্ছে। যারা সংসদে নেই তাদের নিয়ে আলোচনা প্রত্যাহার করা উচিত।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, তোষামোদ আর সত্য প্রকাশ এক নয়। কৃতিত্ব আছে, তার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.