উইন্ডিজকে দাঁড়াতেই দিলেন না সাকিব-মাহমুদরা

করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির ছিল পুরো বিশ্ব। তবে সব বাধা পার করে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে সবুজ গালিচায় লাল-সবুজ জার্সিতে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা।

যদিও মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব, অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ, অভিজ্ঞ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান কিংবা স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনেই বালির বাধের মত উড়ে গেছে ক্যারিবীয়দের সব প্রতিরোধ।

কারণ বাংলাদেশের বোলারদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে মাত্র ১২২ রানেই থেমে যেতে বাধ্য হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে উইন্ডিজের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস।

সাকিব আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন ৪৮৮ দিন আগে। শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ৫৬৪ দিন পূর্বে। মাঝে কাটিয়েছেন এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। ৫৬৪ দিনের লম্বা বিরতির পর ওয়ানডেতে মাঠে নেমেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব। ৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাজঘরে ফিরিয়েছেন আন্দ্রে ম্যাকার্থি, জেসন মোহাম্মদ, নিকমোরা বোনার ও আকিল হোসেনকে।

ইনিংসের শুরুতেই প্রতিপক্ষ শিবিরে জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশকে শুভসূচনা এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। সুনীল অ্যামব্রিসকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন এই পেসার। খানিক পর গালিতে লিটন দাসের অসাধারণ এক ক্যাচে ফিরে যান জশুয়া ডি সিলভা।

১২ রান করা ম্যাকার্থিকে বোল্ড করেন সাকিব। ১৭ রান করা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ ফিরে যান এই অলরাউন্ডারের ওভারেই। এছাড়া বোনারকেও ০ রানে ফেরান এই অলরাউন্ডার। এরপর বোলিংয়ে এসে জোড়া উইকেট নিয়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের আশা জাগান হাসান মাহমুদ। তবে তিন উইকেট নিয়েই অভিষেকে আলো ছড়ান তিনি। শেষ ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে সাকিব তুলে নেন চতুর্থ উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.