অভিনেতা মজিবুর রহমান দিলু আর নেই

প্রবীণ মঞ্চকর্মী ও অভিনেতা মজিবুর রহমান দিলু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানী ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন

নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান এ কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি তার ফেসবুকে এক বার্তা দিয়ে লিখেছেন, ‘আমার ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, কীর্তিমান মঞ্চ ও টেলিভিশান অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আজ সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে অসীমের যাত্রী হয়েছেন। সে জীবন যুদ্ধে যেমন ছিল এক পরাক্রান্ত সৈনিক, তেমনি ছিল এক বর্ণিল জীবনের অধিকারী। তাঁর আত্মার চির শান্তি কামনাই দেশবাসীদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।’

এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ওই সময় তার ছেলে অয়ন বলেন, ‘আব্বুর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো নয়। ফুসফুসের সংক্রমণ খারাপের দিকে যাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগের। এরই মধ্যে তার শরীরে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। কভিড ১৯ নেগেটিভ হলেও সন্দেহ থেকেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সালে গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন বাবা। পরে তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন।’

জানা গেছে, ফুসফুসে সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরার বাসার পাশেই একটি হাসপাতালে ভর্তি হন দিলু। ভর্তির পর চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরের ফুসফুসের বাঁ পাশে ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। আর ডান পাশে ১০ শতাংশ।

উল্লেখ্য, মজিবুর রহমান দিলুর অভিনয় শুরু মঞ্চ থেকে। ১৯৭২ সালে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হন তিনি। ১৯৭৬ থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। মাঝে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’, ‘সংশপ্তক’ প্রভৃতি। মঞ্চে তার অভিনীত আলোচিত কিছু নাটক হলো- ‘আমি গাধা বলছি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কি তামাশা’, ‘নানা রঙের দিনগুলি’ ইত্যাদি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.