ডমিঙ্গোর চোখ বিশ্বকাপে

আগামী বিশ্বকাপ ২০২৩ সালে, ভারতের মাটিতে। নিশ্চিতভাবে উপমহাদেশের কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে। তিন বছর পরের সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তরুণ্য নির্ভর দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর সেই সিরিজ থেকেই ব্যাটিং পরিকল্পনা ঢেলে সাজাচ্ছেন দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের ওয়ানডে সুপার লিগ যাত্রা শুরু হচ্ছে। বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে ভারত ছাড়া বাকি সাত দলই নির্বাচন হবে এই লিগ থেকে। আর বাকি দুই দল নির্বাচিত হবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে। তাই সেরা সাতে থাকতে শুরু থেকেই আঁটঘাট বেঁধেই শিষ্যদের প্রস্তুত করার পরিকল্পনা ডমিঙ্গোর।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘বিশ্বকাপের এখনো ৩ বছর রয়েছে। কিন্তু আমরা জানি সময় কতটা দ্রুত কেটে যায়। এটি (উইন্ডিজ সিরিজ) আমাদের বিশ্বকাপের আগে প্রথম পদক্ষেপ। ব্যাটিং অর্ডারে এক কিংবা দুইটি পরিবর্তন আসতে পারে। এমনকি কিছু খেলোয়াড়কে এমন অবস্থানে চেষ্টা করবো যেখানে তারা আগে খেলেনি। বিশ্বকাপের ছয় থেকে আঁট মাস আগেই ব্যাটিং অর্ডারকে স্থির এবং প্রতিষ্ঠিত করে তুলবো। কারণ বিশ্বকাপে তাদেরকে সেই অবস্থানেই খেলতে হবে।’

কোচ আরও বলেন, ‘সুতরাং এখন আমাদের সেরা ব্যাটিং লাইন-আপ খোঁজার চেষ্টা চালাতে হবে। বিশ্বকাপ শুরুর ছয় থেকে আট মাস আগের সিরিজ ও টুর্নামেন্টগুলোতে যারা ভালো খেলবে তাদেরকেই স্থির করা হবে। টুর্নামেন্টের আগে তারা ২০টির মত ম্যাচে একসঙ্গে নিজেদের বিশ্বকাপের ভূমিকায় খেলার সুযোগ পাবে। সেই সময়ে দলে কাটাছেঁড়া এবং পরিবর্তন আসবে না। ভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিকল্পের দিকে তাকানো হবে। এরপরে বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য আগের বছরেই সব স্থির করা হবে।

চলতি মাসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ৩১৩ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীকাল ২০ জানুয়ারি মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে উইন্ডিজদের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে যথাক্রমে মিরপুরে ২২ ও চট্টগ্রামে ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.