জার্মানিতে ৩ চীনা গুপ্তচর গ্রেপ্তার

চীনা গুপ্তচর সন্দেহে তিনজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে জার্মানি। দেশটির যুদ্ধজাহাজের ইঞ্জিন সংক্রান্ত গোপন তথ্য তারা চীনের গোয়েন্দা বিভাগকে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।

জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, তাদের দৃঢ় ধারণা ওই তিন জার্মান নাগরিক সরাসরি চীনের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে কাজ করছিলেন। এই তিন ব্যক্তির নাম হারউইগ এফ, ইনা এফ এবং টমাস আর। ডুসেলডর্ফ এবং বাড হমবুর্গ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের আগে তাদের বাড়ি এবং কাজের জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

টমাস আর চীনের গুপ্তচর সংস্থার এক কর্মীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে জানানো হয়েছে। সামরিক কাজে লাগে এমন বহু কারিগরি তথ্য তিনি পাচার করতেন বলে অভিযোগ। হারউইগ এবং ইনাকে এই ব্যক্তি কাজে লাগিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। হারউইগ এবং ইনা ডুসেলডর্ফে একটি সংস্থা তৈরি করেছিলেন। জার্মান বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের সঙ্গে কাজ করতো এই সংস্থাটি। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সামরিক বিষয়ে তথ্য নিতো সংস্থাটি। ইনাদের সংস্থা একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনের একটি সংস্থার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, যুদ্ধ জাহাজের ইঞ্জিনের উন্নতির জন্য় জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করবে। বিদেশে কাজ করার জন্য় জার্মানির আইন তারা লঙ্ঘন করেছিল বলে অভিযোগ।

চীনের সরকারি সংস্থা ওই প্রকল্পে টাকা ঢেলেছিল বলে অভিযোগ। এরপর চীনের নৌবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা করছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। এর আগে গত সপ্তাহে বাভারিয়া থেকে রাশিয়ার চর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল জার্মানির পুলিশ।

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যানসি ফায়েসার জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা, জার্মানির একাধিক সংস্থায় চীন গুপ্তরচর মোতায়েন করেছে। তিনি জানিয়েছেন, জার্মানি খুব গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযোগ, চীন বিশেষ করে টার্গেট করেছে জার্মান কারিগরি শিল্পসংস্থাগুলিকে। সেখান থেকে উন্নত কারিগরি কৌশল জেনে নিয়ে তা সামরিক কাজে ব্য়বহারের চেষ্টা করছে তারা। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, ডিপিএ

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.