শ্রীলঙ্কার লড়াকু পুঁজি

দুই দলের কাছেই শেষ ওয়ানডের গুরুত্ব ছিল সমান। ১-১ এ সিরিজ সমতায় থাকায় শেষ ওয়ানডেটি হয়ে দাঁড়ায় সিরিজ নির্ধারনী। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বেশী সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করা লঙ্কানদের শুরু থেকেই চাপে রেখে ২৩৫ রানে গুটিয়ে দেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যদিও লঙ্কানদের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জানিথ লিয়ানাগে। ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই লঙ্কান।

সিরিজে টানা তৃতীয় বারের মতো টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি কুশল মেন্ডিস। তবে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমান করার আগেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিশকা ফার্নান্ডো।

নতুন বলে লঙ্কানদের চোখ কপালে তোলে দেন তাসকিন আহমেদ। দুটি উইকেটই নেন এই পেসার। তবে জোড়া আঘাত থেকে লঙ্কানদের উদ্ধারের দায়িত্ব দেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। এই দুজনের ব্যাটে ধাক্কা সামাল দিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে শ্রীলঙ্কা। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতে না হতেই মুস্তাফিজুর রহমানকে উইকেট দিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ১৪ রান করে ফেরেন সাদিরা। সঙ্গী হারালেও চারিথ আসালঙ্কাকে নিয়ে লড়তে থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক।

এই জুটিতে ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় থাকলেও বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। কুশল মেন্ডিসকে ২৯ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় করেন এই লেগ স্পিনার। ৪ উইকেট হারানো লঙ্কানদের পক্ষে এরপরের লড়াইটা ছিল বড় কঠিন। আসালঙ্কা ও জানিথ লিয়ানাগে মিলে দলকে ১০০’র ঘরে নিয়ে যান। তবে উইকেতে থিতু হয়েও মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান আসালঙ্কা। ৩৭ রানে তিনিও ফেরেন মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে। এরপর মেহেদি হাসানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ১৮ বলে এক রানে ফেরেন দুনিথ ভেল্লালাগে।

ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে লড়াই চালিয়ে যান জানিথ। ৬৫ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে দলীয় রান দেড়শ পার হতেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে বিদায় করেন মিরাজ। তবে সঙ্গী হারিয়েও যেন থেমে যাননি জানিথ। নীচের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকেন এই ব্যাটার।

দলকে চোখের পলকে নিয়ে যান ২০০’র ঘরে। নিজেও হাঁটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। তবে মুস্তাফিজ চোট পাওয়ায় তার বদলে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন সৌম্য সরকার। মাহেশ থিকসানাকে বিদায় করেন তিনি। সঙ্গী হারালেও নীজের মাইলফলকের দিকে হাঁটতে থাকেন লিয়ানাগে। শেষ ওভারে তাসকিনকে কভারের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। যদিও শেষের দিকে ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন এই লঙ্কান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.