পুঁজিবাজারে ভয়ানক দরপতন

আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে পুঁজিবাজার। পতন গড়িয়েছে সপ্তম দিনে। তবে আজকের পতনের তীব্রতা আগের সব দিনকে ছাড়িয়ে গেছে। কমেছে বাজারের সব মূল্যসূচক। এর পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে বাজারে। তীব্র পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

গত কয়েকদিনের মতো আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সূচকের উর্ধমুখী ধারায় বাজারে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু এ ধারা কয়েক মিনিটের বেশি টেকেনি। ধীরে ধীরে সূচক নিম্নমুখী হতে শুরু করে। অবশ্য বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূচকের কিছুটা ওঠা-নামা ছিল। কিন্তু পৌনে ১১টায় সূচক আগের দিনের চেয়ে নিচে নেমে আসে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পতনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৮২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে নেমে আসে। পরবর্তী সময়ে সূচক কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়। ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮৯৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আজ লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স এর যে অবস্থান দাঁড়িয়েছে, তা গত ৩৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২১ সালের ২৫ মে এই সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৮৮৪ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।

আজ ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৯ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমেছে, যা প্রায় ১.১৬ শতাংশ। অন্যদিকে ডিএসইএস ১.০৪ শতাংশ (১৩.৫৫ পয়েন্ট) ও ডিএস৩০ সূচক  ০.৪৩ শতাংশ (৮.৯৬ পয়েন্ট) কমেছে।

আজ বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৩ ভাগ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে। এদিন বাজারে মোট ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এরমধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৪টি কোম্পানির শেয়ারের। অপরিবর্তিত ছিল ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাকী ৩৩০ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে।

আজ ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.