গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪০

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন।

বৃহস্পতিবার গাজায় হামাস পরিচালিত সরকারের মিডিয়া অফিস এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। খবর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১০০ জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্র সিনহুয়াকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান গাজার দেইর এল-বালাহ শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে কয়েক দফায় হামলা চালায়। এর ফলে এসব ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।

অন্যদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে আল জাজিরা বলেছে, ভূখণ্ডের কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘটিত ‘জঘন্য গণহত্যায়’ ৪০ জন নিহত এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

মিডিয়া অফিস বলেছে, ‘আমরা আমেরিকান প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ইসরায়েলকে, চলমান এই অপরাধের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী করি এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য আমরা বিশ্বের কাছে আহ্বান জানাই।’

আল জাজিরার তারেক আবু আজউম রাফাহ থেকে জানিয়েছেন, ‘এই বাড়িগুলোতে কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই আক্রমণ করা হয়েছে। হামলায় আহত হওয়া কয়েক ডজন লোকের বেশিরভাগই শিশু।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.